দিঘা : দায়িত্ব জ্ঞানহীন বাবা মায়ের জন্য চরম খেসারত দিতে হল ছোট্ট এক শিশুকে। রবিবার নিউ দিঘার মেরিনা ঘাটে স্নান করতে নামার পর শিশুটিকে ঘাটে বসিয়ে রেখে সমূদ্রে নামে তাঁর বাবা মা।
আর সবার অগোচরে শিশুটি তলিয়ে যায় সমূদ্রে। প্রায় দু’দিন ধরে তন্নতন্ন করে খোঁজা হয় শিশুটিকে। পরে সোমবার বিকেল নাগাদ শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে শংকরপুর সমূদ্র সৈকত থেকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগণার আনন্দপুর থেকে স্বপরিবারে দিঘায় বেড়াতে এসেছিল আবু উমর। রবিবার বিকেল ৩টে নাগাদ মেয়ে রোশন খাতুন (৯) কে নিয়ে প্রথমে সমূদ্রে স্নান করতে নামে আবু উমর। পরে মেয়েকে সমূদ্রের পাড়ে বসিয়ে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে স্নান করতে যায় সে।
এর কিছু সময় পরে হঠাৎই শিশুটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে সমূদ্রে তলিয়ে গেল নাকি কেউ তাঁকে অপহরণ করল তা পরিষ্কার নয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে সবাই খোঁজাখুজির পরও মেয়েকে না পেয়ে সোমবার সকালের দিকে দিঘা থানায় অভিযোগ জানান তাঁরা।
খবর পেয়ে দিঘা থানা তদন্তে নেমে হিমশিম খেয়ে যায়। কিভাবে মেয়েটির সন্ধান করা হবে সে সম্পর্কে অন্ধকারে হাতড়াতে থাকে পুলিশ। কারন, এই এলাকায় আগে কখনও কোনও অপহরণের ঘটনা ঘটেনি। তাই পুলিশ নিশ্চিত ছিল, বাবা মায়ের গাফিলতিতে মেয়েটি জলেই তলিয়ে গেছে।
অবশেষে দীর্ঘ সময়ের উত্তেজনার মুহূর্তের অবসান হয় সোমবার বিকেলে। দিঘা কোস্টাল থানার পুলিশ খবর দেয়, শংকরপুরের সমূদ্র সৈকতে একটি শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে শিশুটির বাবা মা গিয়ে মৃতদেহটিকে সনাক্ত করে।
এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন বাবা মায়ের জন্য অকালেই প্রাণ হারাল শিশুটি। আর গত দু’ মাসে দিঘা সহ উদয়পুর, মন্দারমণি মিলিয়ে মৃত্যুর পরিমান দাঁড়াল ৯।