চন্দন বারিক, দিঘা : চুপিসাড়ে দিঘায় এসে জাল নোট ছড়িয়ে দিচ্ছিল একদল দাগী ক্রিমিনাল। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের তৎপরতায় দুষ্কৃতীরা এখন খাঁচায় বন্দী। শনিবার তাঁদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
এই দুষ্কৃতী কারা, কি বা তাদের পরিচয়?
ধৃত ৩ দুষ্কৃতী হল হুগলীর তারকেশ্বর থানার বাসুদেবপুর এলাকার বাসিন্দা স্বর্ণেন্দু খাঁ(২৫) এবং তারকেশ্বরের পিরতলার বাসিন্দা সোমনাথ দাস (২০) ও রাজ অধিকারী(১৯)।
এদের মধ্যে স্বর্ণেন্দু খাঁ একজন দাগী মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী। মোটর বাইক চুরি চক্রের পান্ডা এই যুবককে হন্যে হয়ে খুঁজছে তারকেশ্বর সহ হুগলীর একাধিক থানার পুলিশ। এই অভিযুক্ত যুবক পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়েছিল।
ভিডিওটি দেখুনঃ-
তবে পুলিশের নজর এড়াতেই সম্ভবতঃ এই যুবক বাইক চুরি ছেড়ে এখন জাল টাকার কারবারে হাত পাকাচ্ছিল। তবে দিঘায় এসেই তাঁর কারিগরি ধরা পড়ল।
কিভাবে কতটা জাল টাকা ছড়িয়েছে দিঘায়?
ধৃতরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাঁরা তারকেশ্বর থেকে ট্রেনে চেপে দিঘায় এসে পৌঁছেছে। এরপর সামান্য কিছু টাকা নাকি তাঁরা খরচ করেছে। যদিও পুলিশের ধারণা, এই যুবকরা সাধারণ মানুষদের ঠকিয়ে বেশকিছু জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়েছে এলাকায়।
এদিন ধৃতদের তল্লাশি চালিয়ে মোট ৩২টি জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে ২৮টি ২০০ টাকার নোট, ৩টি ৫০০টাকার নোট এবং ১টি ২০০০ টাকার নোট রয়েছে। এর বাইরে আর কত টাকা এরা ছড়িয়েছে তার সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।
কিভাবে পাকড়াও হল এই দুষ্কৃতীরা ?
বৃহস্পতিবার একাধিক দোকানে জাল টাকা ছড়ানোর পর রাতের দিকে একটি হোটেলে খেতে যায় তাঁরা। খাওয়ার পর মহিলা হোটেল মালিকের হাতে ২ হাজার টাকার একটি জাল নোট দেয় তারা।
মহিলা সেই নোটটিকে আসল ভেবে নিয়ে নিয়েছিল। তবে সেটিকে ভাঙাতে গিয়েই তাঁর ভুল ভাঙে। ঘটনাটি একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারের মাধ্যমে পুলিশের কানে যায়। ওই যুবকদের পিছু ধাওয়া করে অবশেষে শুক্রবার দুপুরের দিকে একজনকে পুলিশ পাকড়াও করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বাকি দুই সঙ্গীর সন্ধান পায় পুলিশ।
দিঘা থানার ওসি বাসুকী নাথ ব্যানার্জী নিজে অভিযান চালিয়ে দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করেছে। সেই সঙ্গে তাঁদের কাছ থেকে জাল টাকাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।