উদ্ধার হওয়া পর্যটকের চিকিৎসা চলছে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে
|
চন্দন বারিক, দিঘা : একের পর এক ঘটনা থেকেও নেয়নি পর্যটকরা। প্রশাসনের হাজারও সচেতনতার প্রয়াসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চূড়ান্ত মদ্যপ অবস্থায় সমূদ্রে স্নান করতে নামছে পর্যটকরা।
আর এর জেরেই প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে একের পর এক দুর্ঘটনা। গত সপ্তাহেই পরিবারের সঙ্গে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুরের এক যুবক। বুধবার বিকালেও একই ভাবে সমূদ্রে তলিয়ে যাচ্ছিল এক পর্যটক।
তবে কর্তব্যরত নুলিয়া ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীদের তৎপরতায় মৃত্যু মুখ থেকে ফিরল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের ইন্দার বাসিন্দা সমীর পাল(২৯)।
এদিন নিউ দিঘার ক্ষণিকা ঘাটে স্নান করার সময় বেহেড মদ্যপ অবস্থায় সমূদ্রের বিপজ্জনক জায়গায় চলে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। তাঁকে ডুবতে দেখে নুলিয়ারা জীবনের পরোয়া না করেই জলে ঝাঁপ দেন। সঙ্গে ছিলেন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কর্মীরাও।
আশংকাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ওই যুবকের অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে আপাতত ছেলেটি বিপদ মুক্ত বলেও মনে করছেন চিকিৎসকরা।
কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারীক (SDPO) পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে দিঘায় তলিয়ে যাওয়ার সময় উদ্ধার করা হয়েছিল ২৯ জনকে। ২০১৮ তে প্রায় ২৫ জনকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। কর্তব্যরত নুলিয়ারা যদি এই উদ্ধার না করত তাহলে মৃত্যুর হার অনেক বেশী হত বলেই জানিয়েছেন তিনি। এরজন্য তিনি নুলিয়া, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কর্মী সহ কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।