নিউজ বাংলা ডেস্ক, দিঘা : বুধবার সকাল আটটা। আচমকাই দিঘা সমূদ্র সৈকতে বেজে উঠল সাইরেন। শুরু হল হুড়োহুড়ি, ছোটাছুটি।
স্ট্রেচার নিয়ে সমূদ্রের দিকে ছুটছেন উদ্ধারকারী দল। বালিয়াড়ির চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বহু মানুষ। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে আপৎকালীন ক্যাম্পে। রীতিমত হুলুস্থুল কান্ড এক্কেবারে।
মাইকে তখন অবিরত শোনা যাচ্ছে সুনামির সতর্ক বার্তা। পর্যটকদের সমূদ্র থেকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য বারে বারে সতর্ক করা হচ্ছে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আসলে এ হল সুনামির মতো বিপর্যয়ের পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য মক ড্রিল। যেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মী, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স, ফায়ার ব্রিগেড, নেভি কর্মীরা একজোট হয়ে আয়োজন করেছিল এই মক ড্রিল।
মক ড্রিল হল, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কিভাবে কাজ করা হবে তাঁর হাতেকলকে পরীক্ষা মূলক প্রস্তুতি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং সিভিল ডিফেন্স এর উদ্যোগে সমুদ্রসৈকতের গদাধরপুর এবং দত্তপুর এলাকায় মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে গেলে কিভাবে মানুষদেকে কাছাকাছি আশ্রয়স্থলে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হবে, কিভাবেই বা মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে তারই মহড়া দেওয়া হল এদিন সকালে। সকাল ৮টা থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত এই মক ড্রিল চলেছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
এদিন মক ড্রিলে উপস্থিত ছিলেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি, বিডিও আশীষ রায়, রামনগর ১নং ব্লকের সভাপতি শম্পা মহাপাত্র, কন্টাই এসডিপিও পার্থ ঘোষ, কাঁথি সার্কেল ইন্সপেক্টর চম্পকরঞ্জন চৌধুরী, ওসি জুনপুট ৱবি গ্ৰাহিকা, ওসি মন্দারমনি রাজ কুমার দেবনাথ, ওসি মোহনা থানা সঞ্জীব দত্ত এবং দীঘা থানার ওসি বাসুকিনাথ ব্যানার্জি।
এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সমস্ত সংবাদ ও ছবি সম্পূর্ণ ভাবে নিউজবাংলা.কম এর স্বত্বাধীন। বিনা অনুমতিতে লেখা ও ছবি কপি করা আইনত দন্ডনীয়।