চন্দন বারিক, দিঘাট্রিপ.কম : শুক্রবার সকালে দিঘা সমূদ্রের তট থেকে উদ্ধার হল একটি বিরাট মাপের অক্টোপাস। যা সাধারণ ভাবে দেখতে পাওয়া অক্টোপাসের তুলনায় বেশ বড়। ঘটনাটি জানতে পেরেই দিঘা মেরিন অ্যাকোরিয়ামের ইনচার্জ ড. এস. বালাকৃষ্ণানের তত্ত্বাবধানে অক্টোপাশটিকে উদ্ধার করে সেটিকে সংরক্ষিত জায়গায় ছেড়ে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে সমূদ্রের পাড়ে বিশালাকায় অক্টোপাশটিকে দেখতে পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় পরিবেশবিদ সত্যব্রত দাস। তাঁরাই খবর দেন অ্যাকোরিয়াম কর্তৃপক্ষকে।
সত্যব্রতবাবু জানিয়েছেন, এই ধরণের অক্টোপাস সাধারণতঃ বঙ্গোপসাগরের অগভীর সমূদ্রে বসবাস করে। মৎস্যজীবিদের জালেই এটি উঠে এসেছে বলে মনে করছেন তিনি। প্রসঙ্গতঃ সমূদ্রে প্রায় ২০০ প্রজাতির অক্টোপাস রয়েছে। তাদের মধ্যে এই অক্টোপাসটি সেফালো পোডা প্রজাতির বলে জানিয়েছেন তিনি।
বছর কয়েক আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ভবিষ্যৎবানী করতে দেখা গিয়েছিল একটি অক্টোপাসকে। এদিন দিঘায় উদ্ধার অক্টোপাশটি সেই প্রজাতির বলেই দাবী জানিয়েছেন তিনি। এদিনের দিঘায় উদ্ধার অক্টোপাসের দৈর্ঘ প্রায় ১ মিটার ব্যাসযুক্ত বলে জানা গেছে।
এই অক্টোপাশ সম্পর্কে কিছু চমকে দেওয়ার মতো তথ্য জেনে নিন –
- অক্টোপাসগুলি সাধারণতঃ ১ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
- পুরুষ অক্টোপাস তাঁর শুঁড়ে করে শুক্রানু বয়ে নিয়ে গিয়ে স্ত্রী অক্টোপাসের শরীরে প্রবেশ করানোর পরেই মৃত্যু হয় তাঁর।
- অন্যদিকে স্ত্রী অক্টোপাস একসঙ্গে প্রায় এক থেকে দেড়লক্ষ ডিম পাড়ে সমূদ্রের তলদেশের পাথরের খাঁজে। পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরিয়ে আসার কিছুদিন পরেই মা অক্টোপাসেরও মৃত্যু হয়।
- এরা সাধারণতঃ অত্যন্ত শৌখিন প্রজাতির।
- এদের মূল খাদ্য কাঁকড়া, চিংড়ি। তবে মৃত প্রাণী এরা খেতে পছন্দ করে না।
- কাউকে শিকার করার সময় এদের শুঁড় থেকে বেরিয়ে আসে নিউরো টক্সিন। যা দিয়ে শিকারকে অবশ করে খেয়ে নেয় এরা।
- সাধারণতঃ এদের খুব ছোট আকারে দেখতে পাওয়া যায়।
মোবাইলে দিঘার আরও নিউজ আপডেট পেতে এইখানে ক্লিক করুন – Whatsapp