চন্দন বারিক, দিঘাট্রিপ.কম : মঙ্গলবার খুব সকালে নিউ দীঘার ক্ষণিকা ঘাটে উদ্ধার হল একটি পূর্ণ বয়স্ক “পলাশি গাঙচিল” পাখি।
এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন দীঘা থানার অফিসার ইনচার্জ বাসুকিনাথ ব্যানার্জী ক্ষণিকা ঘাটে যাওয়ার সময় দূর থেকে দেখতে পান একটি পাখি সৈকতে পড়ে কাতরাচ্ছে। পাখিটাকে দেখতে পেয়েই চিনতে ভুল হয়নি তাঁর।
জীবন্ত পাখিটাকে হাতে পেয়েই নস্টালজিয়ায় ভেসে যান বাসুকিবাবু। তিনি তৎক্ষণাৎ পাখিটিকে উদ্ধার করে বনদপ্তরের কর্মীদের খবর দেন। বনদপ্তরের কর্মীরা এসে পাখিটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শংকরপুর বনদপ্তর এর অফিসে নিয়ে যান।
বাসুকিবাবু জানান, সুন্দর সকালে সমূদ্রের পাড়ে এমন একটি পাখিকে দেখতে পাওয়া অত্যন্ত ভাগ্যের ব্যাপার। আর বিপদে পড়ে যাওয়া এমন একটি পাখিকে উদ্ধার করে যে আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। পাখিটি সুস্থ হয়ে আবার আকাশে উড়ে যাক এটাই চান তিনি।
কাঁথির বন দপ্তরের আধিকারিক প্রবীর সেন জানিয়েছেন, পলাশি গাঙচিল পাখি সাধারণতঃ আর দেখা যায় না। বর্তমানে উড়িষ্যার পারাদ্বীপ বন্দর এলাকায় কিছু পরিমানে এই গাঙচিল দেখতে পাওয়া যায়।
এদিনের উদ্ধার হওয়া পাখিটি হয়তো কোনও ভাবে দলছুট হয়ে দিঘায় এসে পড়েছে। পাখিটির ডানা ও পায়ে মারাত্মক চোট রয়েছে। তাই তাঁকে বাঁচাতে সব রকম চেষ্টা চালানো হছে।
এই পাখিটির ইংরেজি নাম “Palla’s Gull”। বিজ্ঞানসম্মত নাম “Ichthyaetus“ যা এসেছে গ্রিক শব্দ ikhthus অর্থাৎ “fish”, এবংaetos অর্থাৎ “eagle”। এই পাখির বেশীরভাগ প্রজাতি সাধারণতঃ শীতের দেশ দক্ষিণ রাশিয়া থেকে মঙ্গোলিয়া থেকে শুরু করে আরব দেশ ও ভারতে বসবাস করে।
বাংলার আকাশে আগে এই পলাশি গাঙচিল প্রচুর পরিমানে দেখা গেলেও এখন এই পাখি বিলুপ্তপ্রায়। একটি পূর্ণবয়স্ক শঙ্খচিলের ওজন প্রায় ৯০০ গ্রাম থেকে ২.১কেজি পর্যন্ত হয়। দৈর্ঘ ১৪২ থেকে ১৭০ সেমি। পাখিটি সুস্থ হয়ে গেলে তাঁকে পুনরায় প্রকৃতির মাঝে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনদফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
মোবাইলে দিঘার আরও নিউজ আপডেট পেতে এইখানে ক্লিক করুন – Whatsapp