চন্দন বারিক, দিঘাট্রিপ.কম : ধেয়ে আসছে ফণি। তার দাপটে ইতিমধ্যেই দিঘা ও পার্শ্ববর্তী সমূদ্র তট এলাকায় শুরু হয়েছে ঝড়ো বাতাস। রাতের ভরা জোয়ারে সমূদ্র যথেষ্ট উত্তাল আর টইটম্বুর হয়ে গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী দিঘা থেকে সামান্য দূরের শংকরপুর এলাকায় একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ পরিবাহী খুঁটি উপড়ে রাস্তার ওপরে পড়ে যায়। এর জেরে গোটা এলাকা অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে। যার জেরে আতংকিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসীরা।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান রামনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাএ ও বিধায়ক অখিল গিরি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। শম্পা মহাপাত্র জানান যাবতীয় ব্যাবস্থা আমাদের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে, যাতে কোন রকম অসুবিধা না হয় তার দিকে কড়া নজরের রাখা হয়েছে।
রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি জানিয়েছেন, এলাকার বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গোটা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে। এছাড়াও যে কোনও রকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব রকমের ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে দিঘা ও সংলগ্ন এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আকাশের মুখও বেজায় ভার। এই পরিস্থিতিতে শংকরপুরের আশেপাশের বিপজ্জনক এলাকাগুলো থেকে সমস্ত বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে পন্তেশ্বরী স্কুল এবং জামড়া স্কুলে ক্যাম্প খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে রাতে বেশ কিছু গ্রামবাসীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও স্থানীয় জলধা, চাঁদপুর, দলবলদিয়া, তাজপুর প্রভৃতি এলাকার সমূদ্র তীরবর্তী বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আগামীকাল সকাল থেকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে গ্রামবাসীদের সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে খবর। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁরা সবরকম আপৎকালীন ব্যবস্থার জন্য তৈরি।
ইতিমধ্যে সমস্ত ফ্লাড সেন্টারগুলিকে বসবাসের উপযুক্ত করে তোলা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীও তৈরি। এছাড়াও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সহ স্থানীয় প্রশাসনকেও তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
মোবাইলে আরও নিউজ আপডেট পেতে এইখানে ক্লিক করুন – Whatsapp