চন্দন বারিক, দিঘাট্রিপ.কম : চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠল দিঘা হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ মাথায় গুরুতর চোট নিয়ে দু’দিন ধরে হাসপাতালের চক্কর কাটলেও কোনও চিকিৎসাই করা হয়নি।
এক্কেবারে বিনা চিকিৎসাতেই মৃত্যু হয়েছে পেশায় গাড়িচালক নির্মল রাউৎ (৪০) নামের ওই ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তির বাড়ি দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার মৈত্রাপুর গ্রামে। এই ঘটনার পরে রবিবার দুপুর থেকে মৃতদেহ ফেলে রেখে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেছেন স্থানীয়রা।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, নির্মলবাবু গতকাল রাত্রি প্রায় ১১টা নাগাদ মাথা ঘুরিয়ে দিঘার রাস্তায় পড়ে যান। এর ফলে তাঁর মাথায় জোরদার আঘাত লাগে। কেটে গিয়ে রক্তও ঝরে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মাথায় সামান্য ওষুধ লাগিয়ে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর কোনও চিকিৎসা না করিয়েই ফিরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
তাঁর সিটিস্ক্যান করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে সকালে হাসপাতালে আসতে বলা হয়। পরে রবিবার সকালে বাড়িতে বারেবারে তাঁর মাথা ঘুরিয়ে যেতে থাকে। দুপুরে তাঁকে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই বিস্তারিত পরীক্ষা না করেই তাঁকে মৃত বলে ঘষনা করা হয় বলে অভিযোগ।
মৃতের আত্মীয়দের দাবী, এরপরেও দীর্ঘ সময় তাঁর নার্ভ সচল ছিল। হাতে পালস পাওয়া যাচ্ছিল। অথচ চিকিৎসককে বারে বারে বলার পরেও তিনি আসেননি। অনেক জোরাজুরি করায় অন্য এক চিকিৎক এসে দেখেন ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
কি বলছেন মৃতের আত্মীয়েরা দেখুন ভিডিওটি-
দিঘার মতো জায়গায় একটি হাসপাতালের এহেন অব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হন মৃতের পরিবার সহ স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অভাবে ধুঁকছে দিঘা হাসপাতাল। তার ওপর অমানবিক ভাবে ওই ব্যক্তিকে গতকাল চিকিৎসা না করেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া এবং আজ তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে যায়।
খবর পেয়ে দিঘা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বিক্ষোভকারীরা এখনও পর্যন্ত হাসপাতালের গেটের সামনে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।