চন্দন বারিক, দিঘাট্রিপ.কম : পৃথিবীতে অত্যন্ত বিরল প্রজাতির প্রাণিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ‘বাতাগুর বাসকা’প্রজাতির কচ্ছপ। প্রায় অবলুপ্ত হতে চলা এই বিশেষ প্রজাতির কচ্ছপকে ইতিমধ্যেই ২০০৮ সালে লাল তালিকাভুক্ত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের মধ্যে বর্তমানে ত্রিপুরার ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির ও অসমের কামাখ্যা ধামের পুকুরে প্রাকৃতিক ভাবেই বসবাস রয়েছে ওই বিশেষ প্রজাতির কচ্ছপদের। আমাদের রাজ্যে এখন প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে প্রাণীটিকে।
রামনগরে দেখা মিলেছে বিরল এই প্রাণীটির। কিন্তু রামনগরের দেপাল গ্রামে পুকুরের জলে এই ‘বাতাগুর বাসকা’এল কোথা থেকে? যার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা অবশ্য মেলেনি। এ দিন দেপালের আকুলবাড় গ্রামের অঞ্জন কুমার পন্ডার পুকুরে মাছ ধরার জালে ধরা পড়েছে পৃথিবীর অতি বিরলতম ‘বাতাগুর বাসকা’ প্রজাতির কচ্ছপটি।
খবর চাউর হলে কচ্ছপটিকে দেখার জন্য ভিড় জমে যায় উৎসাহীদের। অঞ্জনবাবুর থেকেই খবর পেয়ে কচ্ছপটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় শঙ্করপুর বন দপ্তর। জলচর প্রাণীটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পরই চোখ কপালে ওঠে বনকর্তাদের!
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর বনকর্তারা নিশ্চিত হন যে, ওই কচ্ছপটি ‘বাতাগুর বাসকা’ প্রজাতির বিরলতম প্রাণী। শঙ্করপুরের বিট অফিসার সুধীর কুমার শুঁই বলেন, আদর্শ পরিবেশ না পেলে প্রাণ সংশয় হতে পারে কচ্ছপটির। আপাতত শঙ্করপুরের কচ্ছপ সংরক্ষণ পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কচ্ছপটি।