চন্দন বারিক, দিঘাট্রিপ.কম : দীঘা সমূদ্র সৈকতে এখন মাত্রাতিরিক্ত ভীড়। পর্যটকের চাপ এতটাই যে প্রতিটি হোটেলই হাউসফুল। বহু পর্যটক বেশী টাকার বিনিময়ে গ্রামের বাড়িগুলিতেই পেয়িং গেস্ট হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন, আবার ফিরে গিয়েছেন কয়েক’শ পর্যটক।
এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ঘুটঘুটে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে নিউ দিঘার বিস্তীর্ণ সমূদ্র সৈকত। দিঘার হাসপাতাল ঘাট থেকে শুরু করে নিউ দীঘার ক্ষণিকা ঘাট পর্যন্ত সৈকত সরণিতে থাকা স্ট্রিট লাইটগুলো গত দু’দিন ধৱে অকেজো বলে অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
অথচ এই সময়ই পর্যটকের ভীড়ে ঠাসাঠাসি দিঘা। কিন্তু সব কিছু জেনেশুনেও চুপ করে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ণ পর্ষদ, বা স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন কারও হেলদোল নেই এই অন্ধকার দূর করার জন্য।
দিনের প্রচন্ড গরমের পর পর্যটকেরা সাধারণতঃ সন্ধ্যে থেকেই পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ান বিস্তীর্ণ সমূদ্র সৈকতের পাড়ে। লাইন ধরে সমূদ্রের পাড়ে বসে গিয়ে ঠান্ডা হাওয়ার স্বাদ নেন। কিন্তু এভাবে সৈকত সরণি অন্ধকার থাকলে যে কোনও সময় বড় ধরণের সমস্যা হতে পারে। চুরি, ছিনতাই বা বড় ধরণের নাশকতা ঘটে গেলে তা দিঘার ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করবে সন্দেহ নাই।
বিশেষ করে এই অন্ধকারের জেরে সব থেকে বেশী ধাক্কা খাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। এই দিকে অন্ধকার থাকায় ;পর্যটকরা অপেক্ষাকৃত আলোর দিকেই চলে যাচ্ছেন। ফলে এমন মারাত্মক ভীড়ের মাঝেও আশাজনক ব্যবসা পাচ্ছেন না বলেই অভিযোগ একাধিক ব্যবসায়ীর।
দু’দিন ধরে সৈকতের এই অংশ অন্ধকার রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অনুরোধ প্রশাসন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেন এই সমস্যার।