চন্দন বারিক, দিঘাট্রিপ.কম : গত কয়েকদিনে দিঘা সমূদ্র সৈকতে একের পর এক পর্যটকের জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। দিঘা জুড়ে মোতায়েন বিপুল পরিমানে নুলিয়া, সিভিক ভলেন্টিয়ার, পুলিশ, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম – সব কিছুকেই ছাপিয়ে যাচ্ছে পর্যটকদের মৃত্যুর ঘটনা।
কিভাবে রোধ করা যাবে মৃত্যু মিছিল, তা নিয়েই কপালে চিন্তার ভাঁজ পুলিশের। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়া ভাবে জলে নেমেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন পর্যটকরা। মদ্যপ অবস্থায় নামছেন অনেকে। আবার বিপজ্জনক জায়গায় জলে নামায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না অনেকেই।
যার জেরে প্রতিনিয়ত সমূদ্র সৈকতে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত রয়েছে। তবে উদ্ধারকারী দলের তৎপরতায় গত কয়েক দিনে একাধিক পর্যটককে প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। না হলে মৃত্যুর পরিমান আরও অনেকগুন বেড়ে যেত।
তবে মজার বিষয় হল, ঘূর্ণিঝড় ফনি’র তান্ডবের পর থেকেই ওল্ড দিঘার সমূদ্র সৈকতে বহু চোরা বালির পকেট তৈরি হয়েছে। যা বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। হাঁটু সমান জলে এগোতে এগোতে আচমকাই গভীর গর্তে পড়ে ওল্ড দিঘায় গত কয়েকদিনে একাধিক পর্যটকের প্রাণ সংশয় হয়েছে। এই বিষয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া দরকার বলেও পর্যটকদের দাবী।
দিঘা থানা সূত্রে জানা গেছে, এবার মৃত্যু মিছিল ঠেকাতে আরও কড়া হচ্ছে প্রশাসন। দিঘা সৈকতের নিরাপত্তা বাড়াতে অতিরিক্ত বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। নুলিয়ারা অধিকাংশ সময় ওপরে বসে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পর্যটকরা বিপজ্জনক জায়গায় নামলে তাদের তৎক্ষণাৎ তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর জন্য পর্যটকদের কাছেও পুলিশের আবেদন, তাঁরা যেন নিজেরাও আরও সতর্ক হন। না হলে মৃত্যু মিছিল ঠেকানো অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাড়াচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে ঘন্টায় ঘন্টায় দিঘা সৈকতের নিরাপত্তা নিজেই সরেজমিনে নজরদারী শুরু করেছেন দিঘা থানার ওসি বাসুকি নাথ ব্যানার্জী।
প্রতিদিনই বেশ কয়েকজন করে অবাধ্য পর্যটককে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এরপরেও পর্যটকরা দায়িত্ববান না হলে পুলিশ বেপরোয়া পর্যটকদের বিরুদ্ধে কড়া আইনী ব্যবস্থা নেবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।