চন্দন বারিক, দিঘাট্রিপ.কম : দিঘার অদূরে নতুন পর্যটনস্থল তৈরি হয়েছে নৈকালি মন্দিরে। দিঘায় আসা পর্যটকদের কাছে এই জায়গাটি বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলেই মনে করছে রাজ্য পর্যটন দফতর। সেই লক্ষ্যেই আগামী দিনে পর্যটন দফতরের উদ্যোগে এই মন্দিরের পার্শ্ববর্তী সমূদ্রে ভাসমান হাউস বোট ও ভাসমান রেস্তোরাঁ খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার।
রবিবার দিঘায় এসে সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই বার্তা দিলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। করোনা ও ইয়স পরবর্তী ক্ষত সারিয়ে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে দিঘা-শংকরপুর-মন্দারমণি-তাজপুর সে বিষয় খতিয়ে দেখতেই দিঘায় এসেছেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী। এদিন নৈকালি মন্দির পরিদর্শনের পর ভাসমান হাউস বোটের বিষয়টি তুলে ধরেন।
মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানান, নৈকালী মন্দিরের পাশের সমূদ্রে ২টি ভাসমান হাউস বোট রাখার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। এছাড়াও ১টি ভাসমান রেস্তোরাঁও থাকবে এই সমূদ্রে। দিঘায় বেড়াতে এসে পর্যটকরা ভাসমান হাউস বোটে রাত্রিযাপন করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিন তিনি হোটেল ব্যবসায়ীদের একাধিক সংগঠনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন। রবিবার সন্ধ্যায় দিঘা ট্যুরিস্ট লজে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তা ব্যক্তিরা।
বৈঠক শেষে দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি সুশান্ত পাত্র জানান, “ক্ষুদ্র হোটেল ব্যবসায়ীদের চূড়ান্ত দূরবস্থার মুখে পড়তে হয়েছে। তাই তাদের ঘুরে দাঁড়াতে ১০ লক্ষ টাকা করে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। শীঘ্রই ক্যাম্প করে এই সংক্রান্ত আবেদন নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে দিঘার কোন কোন জায়গায় সমস্যা রয়েছে, দিঘার উন্নতিকল্পে কোন কোন কাজ প্রয়োজন সেগুলো নিয়েও বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী”।
সুশান্ত জানান, “মন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন, দিঘার মেরিন ড্রাইভ চালু করতে যে ৩টি ব্রিজ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেই কাজ গুলো দ্রুত শেষ করতে উদ্যোগ নেবে রাজ্য সরকার। এছাড়াও পর্যটন কেন্দ্রের যে সমস্ত জায়গাগুলি মেরামতের প্রয়োজন সেগুলোও যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করা হবে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন”।
কবে থেকে ছন্দে ফিরবে পর্যটন কেন্দ্রগুলি এই প্রশ্নের উত্তরে আশার বানী শুনিয়েছেন মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি দেবদুলাল দাস এবং তাজপুর হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা শ্যামল দাস। তাঁদের দাবী, “অধিকাংশ হোটেল খোলার জন্য এখন পুরোদস্তুর তৈরি। ইয়স ঝড়ে কিছু হোটেলের ক্ষতি হলেও অন্যরা নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছেন। লকডাউন উঠলেই পর্যটকদের স্বাগত জানাতে হোটেলগুলো পুরোদস্তুর তৈরি বলেই জানিয়েছেন তাঁরা”।
রবিবারের পর সোমবারও পর্যটন ইন্দ্রনীল সেন রয়েছেন দিঘাতে। এদিন সকালে তিনি বেরিয়ে পড়েন মন্দারমণি সহ আশেপাশের এলাকা পরিদর্শনে। আগামী দিনে লকডাউন উঠে গেলেই পর্যটন শিল্প যাতে ঘুরে দাঁড়ায় তার জন্য সবরকম চেষ্টা রাজ্য সরকার চালাচ্ছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।