চন্দন বারিক, দিঘা : সমূদ্রের জলের তলায় থাকা বালির চড়ায় আটকে উল্টে গেল মৎস্যজীবিদের একটি ট্রলার। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দিঘা মোহনা সংলগ্ন এলাকায়। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান মৎস্যজীবিরা। কয়েকজন মৎস্যজীবি সাঁতরে পাড়ে চলে আসার পাশাপাশি ওই এলাকায় থাকা অন্য একটি ট্রলার দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাকী মৎস্যজীবিদের উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে ট্রলারটিকেও টেনে পাড়ে তুলে আনে তারা।
মৎস্যজীবিদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই নাব্যতা সমস্যায় ভুগছে দিঘার মৎস্যজীবিরা। ফি’বছর দিঘা মোহনা থেকে গভীর সমূদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় অথবা ফেরার পথে মাঝেমধ্যেই সমূদ্রের জলের তলায় থাকা চড়ায় আটকে পাল্টি খেয়ে যায় মৎস্যজীবিদের একাধিক ট্রলার। এর জেরে মৎস্য জীবিদের প্রাণ সংশয়ের মুখেও পড়তে হয়েছে একাধিকবার। তবে এবার বোধহয় গুরুতর এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চলেছেন দিঘার মৎস্যজীবিরা।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, “মৎস্যজীবিদের দীর্ঘদিনের দাবী মেনে এবছরের নভেম্বর বা ডিসেম্বরেই সমূদ্রের মোহনায় জমে যাওয়া বালির স্তুপ সরিয়ে ফেলার কাজে হাত লাগাতে চলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে এই কাজের জন্য জরিপের কাজ শুরু হয়েছে” বলেও জানিয়েছেন তিনি। অখিল জানান, “মৎস্যজীবিদের সমস্যার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। এবছরের শেষদিকেই সমূদ্রের মুখে ড্রেজিংয়ের কাজ যাতে শুরু করা যায় তার জন্য প্রক্রিয়া চলছে” বলেই জানিয়েছেন তিনি।
অখিল জানান, “সমূদ্রের মোহনা এলাকায় ড্রেজিংয়ের জন্য গতবছর ২৫ কোটি টাকার এস্টিমেট করা হয়েছিল। তবে নানা কারনে কাজ হয়ে ওঠেনি। এবার যাতে দ্রুত কাজ শুরু করা যায় তারজন্য পুনরায় জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। মৎস্যজীবিদের দুর্দশা শীঘ্রই ঘুচবে” বলে আশাবাদী তিনি।
দিঘা ফিসারম্যান এন্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশানের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানিয়েছেন, “দীর্ঘকাল ধরেই নাব্যতা সমস্যায় জর্জরিত মৎস্যজীবিরা। রাজ্য, কেন্দ্র সব জায়গাতেই বহু আবেদন নিবেদন করা হয়েছে। তবে এবার রাজ্য সরকার ড্রেজিংয়ের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে। এই কাজ যাতে দ্রুত হয় তার আবেদন রাখছি”, জানিয়েছেন তিনি।