চন্দন বারিক, দিঘা, পূর্ব মেদিনীপুর : বন্ধ স্কুল, সেই সঙ্গে রয়েছে পুজোর আমেজ। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় বাঙালী তাই সময় নষ্ট না করেই রোমাঞ্চ অর্জন করতে কসুর রাখছেন না। আকাশে ব্যাপক দুর্যোগ থাকলেও দিঘার হোটেলে পর্যটকদের ভীড় নজর কাড়ার মতো। তবে সোমবার রাত থেকে একনাগাড়ে শুরু হওয়া বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই হোটেলবন্দী হয়ে পড়েছেন পর্যটকরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী গত রবিবার থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত অরেঞ্জ সতর্কতা জারি রয়েছে দুই মেদিনীপুর সহ দক্ষিণ২৪ পরগণা জেলাতেও। ইতিমধ্যে গভীর সমূদ্র থেকে দ্রুত ফিরে আসার নির্দেশ পেয়ে তড়িঘড়ি কিনারায় ফিরে এসেছে মাছ ধরার ট্রলারগুলি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দিনভর জোরাল বৃষ্টিপাত জারি থাকবে।
তবে করোনার বিধিনিষেধে দিনের পর দিন গৃহবন্দী থাকার পর এখন বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হতেই বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে পড়ছেন ভ্রমণ পিপাশু বানালীদের একাংশ। বাস চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকে দিঘায় পর্যটকদের আনাগোনাও বেড়েছে বিস্তর।
তার সঙ্গে কিছুদিন আগেই চালু হয়েছে দিঘা হাওড়া এক্সপ্রেস। যা প্রতিদিনই হাওয়া থেকে দিঘায় এসে পৌছাচ্ছে সকাল ১০.১৫ মিনিটে এবং দিঘা থেকে পুনরায় ছেড়ে যাচ্ছে ১০.৩৫ মিনিটে। এছাড়াও কয়েকটি সাপ্তাহিক স্পেশাল ট্রেন চালু রয়েছে। যার ফলে দিঘায় পর্যটকদের ভীড় এখন চোখে পড়ার মতো।
তবে গত রবিবার থেকে আবহাওয়া বেশ খারাপ রয়েছে দিঘার উপকুল এলাকাগুলিতে। সোমবার সকাল নাগাদ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই কিছু সংখ্যক পর্যটক সমূদ্র স্নান সেরে নিলেও মঙ্গলবার আর সেই সুযোগ নেই। দিঘায় বেড়াতে এসে তাই মনমরা হয়ে হোটেলে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। আবহাওয়া দফতরের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। তাই এই সময় হোটেল বন্দী হয়েই কাটাতে হচ্ছে পর্যটকদের।