চন্দন বারিক, দিঘা, পূর্ব মেদিনীপুর : আসন্ন জাওয়াদের মোকাবিলায় প্রস্তুতি চূড়ান্ত সেরে নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। বিশেষতঃ দিঘা সহ সমুদ্র ও নদী তীরবর্তী নীচু এলাকাগুলিতে বেশী করে নজরদারী চালানো হচ্ছে। ইয়াসের সময় যে জায়গাগুলোয় সমুদ্র বাঁধ উপচে জল ঢুকেছিল সেই জায়গাগুলোকে বেশী করে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আজ সকাল থেকে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় জাওয়াদ মোকাবিলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ময়দানে নামেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি।
দিঘা সহ আশেপাশের এলাকাগুলিতে আইলা সেন্টারগুলি ঘুরে দেখেন মৎস্যমন্ত্রী। পরে দিঘার সমুদ্র তটে দাঁড়িয়ে অখিল জানান, “আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বতোভাবে তৈরি রয়েছি। ইয়সের সময় যে সমস্ত এলাকা বেশী প্রভাবিত হয়েছিল সেই জায়গাগুলিকেই বেশী করে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে”।
তিনি আরও জানান, “বিশেষতঃ দিঘা সহ পার্শ্ববর্তী জলদা, চাঁদপুর, জামড়া শ্যামপুর প্রভৃতি নীচু এলাকার বাসিন্দাদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। সমুদ্রের জল বিপদ সীমার ওপরে চলে গেলেই দ্রুত গ্রামগুলিকে খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রতিনিয়ত স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সমন্বয় রেখে কাজ করছে”।
দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবী, সাপ্তাহিক ছুটির মুখে এমন দুর্যোগের খবর পর্যটকদের একটা অংশ দিঘা থেকে আগাম বুকিং বাতিল করেছে বলে খবর। অনেকেই আবার দিঘা ছেড়ে বাড়ি মুখো চলেছেন। এই নিয়ে হোটেল ব্যবসায়ী মহলে কিছুটা আক্ষেপের সুর শোনা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে মৎস্য মন্ত্রী জানান, “বুকিং করেও অনেকে আসেননি বলে জানতে পারছি। আমরা হোটেল মালিকদের বলেছি যত কম সংখ্যক পর্যটক নিয়ে রাখুন, কেউ যেন সমূদ্রের পাড়ের দিকে না যান সেদিকে নজর রাখুন। এই মুহূর্তে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা জরুরি। তাই ছুটি কাটাতে এসে কেউ যেন বিপদের মুখে না পড়েন সেদিকেও নজর রাখা উচিত” বলেই মনে করেন মৎস্য মন্ত্রী।
হোটেল ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের উদ্দেশ্যে অখিলের উক্তি, “এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা অত্যন্ত দরকার”। তবে মন্ত্রী এটাও জানান, “ইয়াসের ক্ষত সারিয়ে নতুন রূপে সেজে উঠেছে দিঘা। তার মধ্যেই আবারও ঝড়ের ভ্রূকুটি দেখা দিয়েছে। তবে এবার পরিস্থিতি ইয়াস বা আমফানের মতো হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে গোটা পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে”।