চন্দন বারিক, দিঘা : দিঘার সৈকত শহরে আচমকাই হানা দিল খাদ্য দফতরের আধিকারীকেরা। প্রতিটি হোটেল রেস্তোরাঁ থেকে সংগ্রহ করা হল খাদ্যের নমুনা। কিন্তু কেন এই অভিযান তা নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ আধিকারীকেরা। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, গত এক বছরে দিঘায় বেড়াতে এসে কাঁকড়া খেয়ে ৪ পর্যটকের মৃত্যুর খবরেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসপ্ন। যদিও দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার সন্দীপ বাগের মতে, “যাদের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই এলার্জির রোগী ছিল”। তবে পর্যটকের বিষয়ে জেলা প্রশাসন আরও বেশী সতর্কতার সঙ্গেই বিষয়টি দেখছে বলে খবর।
এদিন বেলার দিকে অভিযানে নেতৃত্ব দেন নন্দীগ্ৰাম স্বাস্থ্য জেলা ফুড সেফটি অফিসাররা। খাওয়ারের গুণগত মান পরীক্ষা করার জন্য একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। রামনগর ১ ব্লকের ফুড সেফটি অফিসার রনিতা সরকার জানান, “রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল পরিমানে পর্যটক ভিড় জমান দিঘায়। তাঁদের সুরক্ষার দিকটি খতিয়ে দেখতেই খাদ্য দফতর অভিযান শুরু করেছে”।
প্রসঙ্গতঃ করোনা আবহে দীর্ঘ খরা কাটিয়ে সবেমাত্র ঘুরে দাঁড়িয়েছে পর্যটন শহর দিঘা। ছুটির আমেজে প্রতিনিয়ত সৈকত শহরে ভিড় জমাচ্ছেন হাজার হাজার পর্যটক। বছর শেষের ছুটিতে সেই ভিড়ের চেহারা আরও জমজমাট। হোটেল রেস্টুরেন্টগুলিতে খাওয়ারের টেবিলেও নজর কাড়ছে লম্বা লাইন। কিন্তু এই ফাঁকে কোনও অসাধু ব্যবসায়ী যাতে খাওয়ারের গুনগত মান নিয়ে কাটাছেড়া করতে না পারে তা নিয়েই তৎপর হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
তাছাড়াও গত ২১ নভেম্বরে দিঘায় বেড়াতে এসে সামূদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল বেহালার বাসিন্দা সৌম্যদ্বীপ শিকদার-এর। এর এক মাসের ব্যবধানে গত ২৪ ডিসেম্বর একই ভাবে সামূদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয় বীরভূমের রামপুর হাটের বাসিন্দা ঋত্বিকা ভকৎ (১৮)। এই ঘটনার পরেই দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার সন্দীপ বাগ পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, গত এক বছরে কাঁকড়া খেয়ে ৪ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই স্থানীয় প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।